আউটবাউন্ড ও ইনবাউন্ড লিংক কি ? কিভাবে এটা রেঙ্ক করতে সাহায্য করে ব্লগে।- [All About Outbound And Inbound links In Bangla]

আউটবাউন্ড ও ইনবাউন্ড লিংক কি ? কিভাবে এটা রেঙ্ক করতে সাহায্য করে ব্লগে।- [All About Outbound And Inbound links In Bangla]

আউটবাউন্ড ও ইনবাউন্ড লিংক কি ? কিভাবে এটা রেঙ্ক করতে সাহায্য করে ব্লগে।- [All About Inbound And Outbound In Bangla] যখনি আপনি আপনার অনলাইন ভেনচার বা অনলাইন বিজনেস ব্লগ্ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রমোট করতে চাইছেন কিছু কিছু বিষয় আপনার স্মরণে রাখতেই হবে।


যেমন যদি ব্লোগ্গিং করেন বা ওয়েবসাইট মেইনটেইন করেন কিন্তু এখানে আপনাকে একটি দিক ঠিক মাথায় রাখতে হয় সেটা হচ্ছে এসইও করা অন-পেজ বা অফ-পেজ বা টেকনিকাল এসইও যে কোনো রকমের হতে পারে এটার মধ্যে।


এখানে ঠিক অফ-পেজ এসইওর ক্ষেত্রে লিংক বিল্ডিংর একটি অন্যতম কলা-কৌশল এটিকে সঠিক ভাবে করা অনেক সময় অভিজ্ঞ এসইও এক্সপার্টরাও কনফিউস হয় যান এবং এই লিংক বিল্ডিংর মধ্যে আবার তিন রকমের ভাগ থাকে যথা ইনবাউন্ড লিংক [INBOUND LINK], আউটবাউন্ড লিংক [OUTBOUND LINK], ইন্টারনাল লিংক [INTERNAL LINK] যেগুলি কম বেশিই প্রত্যেকটি সাইট বা ব্লগ করে থাকেন কিন্তু আজ আমি আরো ভালো করে বুঝিয়ে বল বলবো আপনাদের।



🔘১১ টি সাংঘাতিক ভুল নতুন ব্লগারা করে থাকেন।

🔘আলী এক্সপ্রেসে ড্রপ শিপিং বিজনেস গাইড: ইনকাম $1000 প্রত্যেক মাসে।


আউটবাউন্ড লিংক কি ? [WHAT IS OUTBOUND LINK IN BANGLA]

আউটবাউন্ড লিংক [ OUTBOUND LINK] এই ধরণের লিংক আপনি সাধারণতো দিয়ে থাকেন আপনার ব্লগ থেকে অন্য সমস্ত ব্লগ বা পেজ বা একটি আলাদা ডোমেইনে, আউটবাউন্ড লিংক অফ-পেজ এসইওর ক্ষেত্রে খুবই ভাইটাল এবং যেটা সার্চ ইঞ্জিনকে সহজ করে থাকে আপনার অথরিটি প্রতিষ্টা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট নিশের [NICHES] মধ্যে। 


একজন ব্লগার বা সাইট OWNER হিসাবে আপনার পুরো অধিকার আছে আপনার আউট বাউন্ড দেবার অন্য যেকোনো সাইট বা ব্লগ কে আপনার ওয়েবসাইট থেকে, কিন্তু এটাও আপনাকে দেখতে হবে যেসমস্ত ব্লগ বা সাইট তাদের ভালো রিসার্চড কনটেন্ট লিখতে প্রচুর শ্রম দান করেন এবং আপনারই নিশের মধ্যে খুবই পরিচিতি তাদের আউট বাউন্ড লিংক প্রদান করুন এটাতে আপনারও অথরিটি বুস্ট করবে আপনার ব্লগের উপর মানুষের বিশ্বাস তৈরি হবে।


এবার চলুন আমরা দেখেনি একটু টেকনিকাল আউট বাউন্ড লিংকের ওপর কারণ এটা জানা অবশ্যই একটি গুরুত্ব পূর্ণ কাজ, টেকনিকাল আউট বাউন্ড লিংক প্রধানত দুই রকমের হয় ১.ডুফোলো [DO-FOLLOW] ২.নোফোলো [NO-FOLLOW] .



 ১.ডুফোলো [DO-FOLLOW]

যখন আপনি লিংক প্রদান করছেন তখন ডিফল্ট হিসাবে DO-FOLLOW লিংক দেওয়া থাকে এবং যেসমস্ত ব্লগ আপনার থেকে এই ধরণের ব্যাকলিংক পাচ্ছেন তাদের এডভ্যান্টেজ হচ্ছে আপনার দেওয়া DO FOLLOW লিংকটি কিন্তু আপনার ব্লগে আসা সমস্ত ইউসার সঙ্গে সার্চ ইঞ্জিন বটদের ডাইরেক্ট করছে "DO"-FOLLOW  মাধ্যমে আপনার দেওয়া লিংকটি ইনডেক্স করার জন্য


এটার জন্য যাকে আপনি লিংক করছেন সে আপনার সাইট থেকে ফ্রি ট্রাফিক পাচ্ছেন সঙ্গে আপনার সাইটের লিংক জুস্ও পাচ্ছেন যেটায় তাদের রেঙ্ক বৃদ্ধি হতে পারে সহজে।


কিন্তু আমি RECOMMENDED করে থাকি যদি আপনি নতুন ব্লোগ্গিং করছেন ভাবছেন এটা থেকে পয়সা ইনকামের কথা তাহলে আপনাকে মিউচুয়াল রিলেশনশিপ তৈরি করতে হবে এবং চেস্টা করুন তাদের DO-FOLLOW দেবার  যাতে আপনি তাদের থেকে একি বেনিফিট পান পরে।


২.নোফোলো [NO-FOLLOW]

NO-FOLLOW লিংক যেটা দেখতে একটি DO-FOLLOW এরই সমান এবং আপনার ব্লগে আসা সমত ইউসার এই লিংকের মাধ্যমে যাতায়াত করতে পারবেন কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন এটাকে ইনডেক্স করবেন না তাই লিংক জুস্ও পাস্ হবে না কারণ আপনি এখানে rel=”nofollow” ট্যাগ ব্যাবহার করে NOFOLLOW ডাইরেক্ট করছেন সার্চ ইঞ্জিনকে তাই এটা ইনডেক্স করা হবেনা।




আউটবাউন্ড তৈরি করার সময় কিছু জিনিস মনে রাখতে হবে।

লিংক এক্সচেঞ্জ করবেন না।

OUTBOUND লিংক নেবার সময় লিংক এক্সচেঞ্জ করবেন না যদি গুগলের কাছে ধরা খান তাহলে আপনি পেনাল্টি পর্যন্ত হতে পারে যেখানে আপনার সাইটের রেঙ্ক ডাউন হতে পারে এবং এটা থেকে বাঁচতে অনেক সময় লাগতে পারে।
আমি জানি আপনি বলবেন এটা সব থেকে সহজ উপায় ব্যাকলিংক নেবার কারন আপনি অন্য জনকে লিংক দিচ্ছেন আবার সে আপনাকে লিংক দিচ্ছে কিন্তু আপনি জানেন না তাদের অথরিটি কতটা এবং যদি কম থাকে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট অথরিটির উপর প্রভাব তৈরি করবে




সবথেকে রিলেভেন্ট বা আপনার নিশের সাইটে লিংক করুন।

অনেক বারি এটা হয়ে থাকে রিলেভেন্ট সাইট যুক্ত করার সময় আমরা না দেখেই লিংক ব্যাক করেদিয়ে থাকি প্রচুর হাই অথরিটির সাইট বা ব্লগকে কোনো ফলের আশা না করেই কিন্তু এখানে আপনাকে লিংক হবে এমন ভাবে মিডিয়াম সাইট বা ব্লগকে।

ধরুন আপনি ব্লোগ্গিং করছেন "হেলথ নিশের" মধ্যে আপনি কনটেন্ট লেখার সময় দেখলেন একটি রিলেভেন্ট OUTBOUND লিংক দেবার প্রয়োজন তাই আপনি কোনো কিছু না ভেবেই সার্চ ইঞ্জিনে একটু ঘেঁটেই প্রথম পেজের নম্বর ১ বা ২ নম্বর একটি সাইট পেলেন যেটা আপনার নিশে খুব পপুলার এবং হেলথের সমস্ত কিছু বিষয় কভার করেন এবং যার DA-৯১ আপনি এটাকেই লিংক ব্যাক করে দিলে

কিন্তু আমি ওই জায়গায় থাকলে একটু ব্রতিকম করতাম আমি লিংক করতাম সবসময় ২ নম্বর বা ৩ নম্বর পেজের কোনো সিঙ্গল অথর হেলথ ব্লগারকে এবং লিংক করার সঙ্গেই তাকে একটি মেইল করে দিতাম যদি সে এটাই একটু ইনবাউন্ড লিংক বা লিংক ব্যাক দেয় এবং ৯৫% সম্বভনা থাকে লিংকঃ দেবার কারণ তারাও লিংকের অভাবে ২ বা ৩ নম্বর পেজে রেঙ্ক করছে যদি একটি DO-FOLLOW OUTBOUND লিংক পায় তাতেও তাদের একটু হলেও রেঙ্ক পুশ হবে সঙ্গে আপনারও আর যদি আপনি প্রথম সারির কোনো সাইট বা ব্লগ কে OUTBOUND লিংক দেন তাহলে তারা আপনাকে জানতেই পারবে না বা যদিও জানেন তারা লিংক ব্যাক করবে না কারণ এমনিতেই প্রথম পেজের প্রথম বা দৃতীয় পজিশনে রেঙ্ক করছে তাই


লিংক বিক্রি করবেন না।

লিংক বিক্রি খুব খারাপ একটি জিনিস এটা আমিও দেখেছি মানুষ লিংক নেবার জন্য অনেক সময় পয়সা পর্যন্ত দিতে প্রস্তুত হয় যায় কখনো পয়সা ছাড়াও গিফট,বিভিন্ন পেইড প্যাক এবং আরো বিভিন্ন ধরণের জিনিস দিয়া থাকে।
কিন্তু এই সব জিনিস একসেপ্টেড নয় সার্চ ইঞ্জিনের দৃষ্টিতে আর সার্চ ইঞ্জিন যদি এটা বুজতে পারে তাহলে আপনি এবং যে লিংক নিচ্ছেন দুজনেই সাংঘাতিক ধরণের পেনাল্টি খেতে পারেন যেটার সময় সীমা ২ কিংবা ৩ বছর।


ইনবাউন্ড লিংক কি ? [WHAT IS INBOUND LINK IN BANGLA]



ইনবাউন্ড লিংক বা ব্যাকলিংক যেটা আপনি পেয়ে থাকেন অন্য ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে এবং যেটার কন্ট্রোল পুরোটাই থাকে অন্য ওয়েবসাইটের হাতে, আপনার নিশ্চিত ভাবে জানেন ব্যাকলিংক কিভাবে আপনাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে রেঙ্কের জন্য ইনফ্লুয়েন্স করে থাকে।

ইনবাউন্ড লিংক যথা একরকমের ভোটের মতো যেখানে অন্য সমস্ত ব্লগ বা সাইট আপনাকে সাপোর্ট দিয়ে থাকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে কতটা আপনার সাইট বা ব্লগ বিশস্ত এটিও মনে রাখবেন যতবেশিই আপনি ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারবেন ততটাই আপনার রেঙ্কের বৃদ্ধি পাবে।

ইনবাউন্ড লিংকের কিছু কোয়ালিটি আছে যেমনটা হয়ে থাকে আউটবাউন্ড লিংকের ক্ষেত্রে DO-FOLLOW আর NO-FOLLOW লিংক। একটি শক্তি শালী DO-FOLLOW যেমন অন্য ওয়েবসাইট বা ব্লগের রেঙ্ক বুস্ট দিতে পারে তেমনি একটি NO-FOLLOW কিছুটা আপনার ট্রাফিক সাপোর্ট দিতে পারে কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন সাপোর্ট না।

একই রকম ভাবে নিন্ন মানের ইনবাউন্ড লিংক কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের রেঙ্কিং যথা অথিরিটির ওপর ভালো প্রভাব ফেলে একই সঙ্গে রেলেভেন্সি এবং কোয়ালিটি INBOUND LINK আপনার রেঙ্ক বুস্ট করতে পারে খুব ভালো ভাবে।


ইনবাউন্ড লিংক তৈরি করার সময় কিছু জিনিস মনে রাখতে হবে।




গেস্ট পোস্টিং।

গেস্ট পোস্টিং আপনিও নামটা শুনেছেন কিন্তু কোনোদিন ট্রাই করেন নি এটা ব্যাবহার করে ব্যাকলিংক নেবার তাহলে বলি গেস্ট পোস্টিং একটি মোক্ষম উপায় DO FOLLOW বা ইনবাউন্ড লিংক পাবার যেখানে আপনি আপনার লেখা একটি কোয়ালিটি ARTICLE অন্যের বা হাই কোয়ালিটি ব্লগে পাবলিশ করছেন তার বিনিময়ে আপনি একটি DO FOLLOW ইনবাউন্ড লিংক পাচ্ছেন। 


ইউনিক রাইটিং কনটেন্ট।

আমি বা আপনি কখনোই বোরিং কনটেন্ট পড়তে পছন্দ করিনা সঙ্গে গুগলও না বিশেষ করে কপি পেস্ট কনটেন্ট আর যদি আপনি কপি পেস্ট কনটেন্ট ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে ভুলে যান রেঙ্ক করেনর বা ইনবাউন্ড লিংক পাবার পরিবর্তে আপনার পেনাল্টি হবার সম্বভনা থাকে তাই চেস্ট করুন ইউনিক কনটেন্ট লেখার যাতে আপনি সহজে ইনবাউন্ড লিংক পান অন্য ব্লগের থেকে।


আপনার নিজের নলেজ শেয়ার করুন।

নলেজ ছাড়ালেই নলেজ বাড়ে এটা আপনিও জানেন আমিও জানি কিন্তু কিন্তু খুব ব্লগারাই এটা করেন নলেজ শেয়ার করতে চান না, এটা কিভাবে আপনাকে সহজ করতে পারে ব্যাকলিংক লিংক নিতে আসুন আপনাকে একটু বুঝিয়ে বলি ধরুন আপনি আপনার নিশের Q&A প্লাটফ্রমে কিছুর প্রশ্ন বা উত্তর দিচ্ছেন সেখানে নিজের অভিজ্ঞতা দেখান চেষ্টা করুন ইউনিক ভাবে লেখার

আবার অনেক সময় অনেক ফেইসবুক গ্রুপ আছে যেখানে অনেক সময় Q&Aকম্পেটিসন হয়ে থাকে সেখানে পার্টিসিপেট করুন আপনার ভিউ রাখুন আপনার নলেজ দিয়ে কথা বলুন এমন না অন্যের নলেজ বা জ্ঞান কপি করা এগুলি যদি ঠিক ভাবে করতে থাকেন তাহলে আপনার অথরিটি এবং ট্রাস্ট তৈরি করবে আপনার নিশের মধ্যে যেটা আপনাকে ইনবাউন্ড লিংক পেতে সাহায্য করবে অনেক গুন্ বেশিই


প্রমোট, প্রমোট , প্রমোট করুন লিংক নেবার জন্য।

শুধু রিসার্চাড কনটেন্ট পাবলিশ করা যথেষ্ট নয় VISITOR পাবার জন্য আলটিমেট ব্যাকলিংক পাবার জন্য আপনাকে যেটা শিখতে হবে কনটেন্ট গুলি ঠিক করে মার্কেটে প্রমোশন, যাতে অনেক অনেক শেয়ার আসে এবং আপনার প্রধান লক্ষ পূরণ হয় সেটা লিংক পাবার আশায় বা ট্রাফিক পাবার আসায়।

Load comments